Free Youtube Subscribe

Wednesday, July 17, 2024

আগামী ১৮/০৭/২০২৪ ইং ০৮ নং মনোহরপুর ইউনিয়নে টিসিবি বিতরণ

০৮ নং মনোহরপুর ইউনিয়নের টিসিবি কার্ডধারীদের জন্য সু-খবর অসছে আগামী- ১৮ জুলাই ২০২৪ ইং রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯.০০ থেকে বিকাল ৪.০০ পর্যন্ত মনোহরপুর ইউপি চত্বর হইতে সূলভ মূল্যে টিসিবি পন্য বিক্রয় করা হইবে।

 
প্রতিটি প্যাকেজের মূল্য ৪৭০ টাকা মাত্র।
টিসিবি কার্ড নিয়ে টিসিবি পণ্য সংগ্রহ করার জন্য আহব্বান করা হলো। 

 
আহব্বানে
মোঃ আব্দুল ওহাব প্রধান রিপন
চেয়ারম্যান
০৮ নং মনোহরপুর ইউপি
পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা।

১৬ টি মোটর সাইকেল পুড়ে দিলো, গাইবান্ধায় কোটাবিরোধী অন্দোলনকারী ভিডিও



 

বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয় হিসাবে দাঁড়িয়ে থাকে। কোটা বা আবন্টন ব্যবস্থা হলো এমন একটি সুযোগ-সম্ভাবনা বিতরণের পদক্ষেপ, যা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি ন্যায়তন্ত্রিক অধিকার ও সম্মান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এটি বিশেষভাবে শিক্ষা, নিয়োগ, বেতন, বাসস্থান ইত্যাদি জায়গাগুলিতে অনুক্রমে প্রযোজ্য।


বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে কোটা ব্যবস্থার প্রথম আদেশ হল ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত একটি কোটা বিধি, যা প্রতি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক প্রতিনিধিত্বের নামে কঠিন নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক পদ সরবরাহ করতে পারে।


কোটা বিরোধী আন্দোলনের প্রধান কারণ হলো এটি সামাজিক ন্যায়ের বিপরীত বলে মনে হয়। প্রথমত, এর মধ্যে কোনও ক্ষতির অসম্ভাবনা রয়েছে, তাই বিশেষভাবে এটির সমর্থক পরিচালনা করতে চান। দ্বিতীয়ত, তারা বিশেষ কোটা ব্যবস্থার প্রতি ন্যায়তন্ত্রিক পরিপ্রেক্ষিতে এককটি স্বাধীন মূল্যায়ন দেখা দেয়, যা নেতৃত্বের সাথে প্রতিপক্ষ বিশ্বাস করে।

সংগৃহীত- ফেসবুক  



Thursday, July 4, 2024

মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল ওহাব প্রধান রিপন ভাইয়ের সভাপতিত্বে বাল্য বিবাহ নিরোধ কমিটির সভা

অদ্য ০৪/০৭/২০২৪ ইং গণউন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত মনোহরপুর ইউপি কার্যালয়ে বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
 
 
 
০৮ নং মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল ওহাব প্রধান রিপন ভাইয়ের সভাপতিত্বে সভার কর্যক্রম শুরু হয়।
 

 
এসময় উপস্থিত ছিলেন, Susan, Country Diretar, Winrock International, American, ইউপি সচিব মোঃ রায়হান ফিরোজ, ইউপি সদস্যগণ, ইউনিয়ন বিবাহ রেজি: কাজী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্র্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, উদ্দ্যোক্তা, গ্রামপুলিশ ও অত্র এলকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ। 
 
 
 
 

Sunday, June 30, 2024

আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল: ফুটবলের মহাযুদ্ধ এবং জাতীয় গর্বের প্রতীক



আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের ফুটবল ম্যাচগুলি সবসময়ই অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে থাকে। এই দুটি দেশ দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের প্রধান শক্তি এবং তাদের মধ্যে ম্যাচগুলি কেবল ক্রীড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বরং সংস্কৃতি এবং জাতীয় গর্বের প্রতীকও বটে। 


আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৯১৪ সালে। সেই থেকে এই দুই দেশের মধ্যে বহু উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার প্রতিটি ম্যাচেই দুই দেশের ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে ওঠে। পেলে, মেসি, ম্যারাডোনা এবং রোনালদিনহোর মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়রা এই ম্যাচগুলিতে খেলে গেছেন, যা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও মহিমান্বিত করেছে।

ব্রাজিলের ফুটবলকে প্রায়ই "জোগো বনিতো" বা "সুন্দর খেলা" বলা হয়। তাদের খেলার স্টাইল সাধারণত আকর্ষণীয় ড্রিবলিং, তীক্ষ্ণ পাসিং এবং আক্রমণাত্মক কৌশলের জন্য পরিচিত। অন্যদিকে, আর্জেন্টিনার ফুটবল স্টাইল আরও কৌশলগত এবং সৃজনশীল। আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা সাধারণত বলের নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক পাসিংয়ে দক্ষ হয়ে থাকে। 


দুই দলের মধ্যে মুখোমুখি ম্যাচগুলোতে ব্রাজিল বেশিরভাগ সময় সামান্য এগিয়ে রয়েছে, তবে আর্জেন্টিনাও তাদের দক্ষতা এবং পারফরম্যান্সের মাধ্যমে অনেক ম্যাচ জিতেছে। বিশেষ করে, ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছিল, যা লিওনেল মেসির প্রথম বড় আন্তর্জাতিক ট্রফি।


প্রতিটি আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল ম্যাচেই উত্তেজনা তুঙ্গে থাকে এবং খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ছাড়াও দর্শকদের আবেগ এবং উন্মাদনাও ফুটে ওঠে। মাঠের মধ্যে খেলার চেয়ে মাঠের বাইরে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসও এই ম্যাচগুলির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। স্টেডিয়ামে বা টিভি পর্দার সামনে, বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের ভক্তরা এই ম্যাচগুলি দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকে।

এছাড়াও, এই ম্যাচগুলির মধ্যে প্রায়ই কিছু বিতর্কিত মুহূর্তও থেকে যায়, যা ম্যাচের উত্তেজনা এবং নাটকীয়তা বাড়িয়ে তোলে। রেফারির সিদ্ধান্ত, খেলোয়াড়দের আচরণ এবং খেলার কৌশল নিয়ে আলোচনা এবং বিতর্ক হরহামেশাই দেখা যায়। 


আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল ম্যাচগুলির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল এই দুটি দেশের ফুটবল ঐতিহ্য এবং গর্ব। দুই দেশের ফুটবল ঐতিহ্য অনেক পুরানো এবং গভীরভাবে মূল প্রোথিত। এই ম্যাচগুলো কেবল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নয়, বরং দুই জাতির গর্বের প্রতীকও।

যখনই এই দুটি দল মুখোমুখি হয়, তখন শুধু দুটি দলের মধ্যেই নয়, বরং দুটি জাতির মধ্যেও এক ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি হয়। আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের ফুটবল ম্যাচগুলি কেবলমাত্র খেলাধুলার একটি দৃষ্টান্ত নয়, বরং দুটি দেশের মানুষের মধ্যে সংযোগ এবং আবেগেরও প্রতিফলন।

আরো জানুন

Friday, June 28, 2024

হরিনাবাড়ী কলেজের সাভাতি ও চেয়ারম্যান, মনোহরপুর ইউপি, মো: আব্দুল ওহাব প্রধান রিপনের এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের উপলক্ষে প্রেরণা মূলক বক্তব্য



সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, প্রিয় ছাত্রছাত্রী এবং অতিথিবৃন্দ

২৭/০৬/২০২৪ ইং হরিনাবাড়ী কলেজ কর্তৃক আয়োজিত, অত্র প্রতিষ্ঠানের ২০২৪ ইং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের এই বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কলেজ জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তটি আমাদের সকলের জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আজকের এই দিনটি আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীদের জীবনের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

প্রথমেই, আমি শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমণ্ডলীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, দিকনির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই শিক্ষার্থীরা আজকের এই অবস্থানে পৌঁছাতে পারত না। আপনাদের প্রতি আমাদের সম্মান ও কৃতজ্ঞতা সর্বদা থাকবে।

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ তোমাদের বিদায় কিন্তু এটি কোনো শেষ নয়, বরং একটি নতুন যাত্রার সূচনা। তোমাদের সামনে যে ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে তা তোমাদের কঠোর পরিশ্রম, সততা এবং নিষ্ঠার উপর নির্ভরশীল। শিক্ষার আলো দিয়ে তোমরা নিজেদের এবং সমাজকে আলোকিত করবে।

তোমাদের সকলকে আমি একটি কথা বলতে চাই, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে নিজেকে সৎ এবং নিষ্ঠাবান রাখবে। সততা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে তোমরা সকল বাধা অতিক্রম করতে পারবে। জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্য অপরিহার্য।

আমাদের কলেজের স্মৃতিগুলো তোমাদের জীবনে অনুপ্রেরণা হিসেবে থাকবে। শিক্ষকদের পরামর্শ, বন্ধুদের সাথে কাটানো সময়, প্রতিটি মুহূর্তের স্মৃতি তোমাদের জীবনে এক অমূল্য সম্পদ। 

আজকের এই বিশেষ দিনে, আমি তোমাদের সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। তোমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করো, এটাই আমাদের সকলের একান্ত কামনা। তোমাদের জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসুক।

ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল।






Monday, June 24, 2024

শিক্ষনীয় বিষয় চাদনী ও চন্দনের অমলিন ভালোবাসা- চাদনীর বিরহের জীবন কাহিনীঃ পার্ট-1

রাত গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে। চাদনীর চোখে আজ ঘুম আসছে না। সে বসে আছে জানালার পাশে, চাঁদের আলো তার মুখে পড়ছে। তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত এখন মনে হচ্ছে এক বিরহের সাগর।

চাদনী আর চন্দন—এই নাম দুটি একসময় একসঙ্গে উচ্চারিত হতো। তারা ছোটবেলা থেকেই একে অপরকে ভালোবাসত। তাদের ভালোবাসার গল্প সবাই জানত। স্কুলের বন্ধুত্ব, কলেজের প্রেম, সবকিছু যেন স্বপ্নের মতো সুন্দর ছিল।


চাদনী  আর চন্দনের জীবনের গল্প এক সুন্দর স্বপ্নের মতো চলছিল। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তাদের জীবনকে ভেঙে দিয়েছিল। চন্দনের বাবা একজন সরকারি চাকুরীজীবী ছিলেন। হঠাৎই তাকে ঢাকায় বদলি করা হয়। চন্দন চলে যায় ঢাকায়। চাদনী গ্রামের ছোট্ট শহরে একা পড়ে থাকে।


চন্দন চলে যাওয়ার পর থেকে চাদনীর জীবনে একটা শুন্যতা তৈরি হয়। শুরুতে তারা একে অপরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। চিঠি, ফোনকল—সবকিছু দিয়েই তারা একে অপরকে অনুভব করত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সবকিছু বদলে যেতে লাগল। চন্দনের ব্যস্ততা বাড়তে থাকে, চাদনীর সাথে তার যোগাযোগ কমে যেতে থাকে।

একদিন চাদনী খবর পেল, চন্দনের বিয়ে ঠিক হয়েছে। এই খবরটা চাদনীকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। চাদনীর মনের মধ্যে একটা ভয়ানক ঝড় বয়ে যায়। সে চন্দনকে ফোন করে। চন্দন জানায়, সে বাবা-মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেতে পারেনি।

চাদনী কান্নায় ভেঙে পড়ে। তার হৃদয় ভেঙে যায়। সে বুঝতে পারে, তার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি তাকে ছেড়ে চলে গেছে। চন্দনের কথা মনে করে সে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ে।

দিন কাটতে থাকে, কিন্তু চাদনীর জীবনে চন্দনের স্মৃতি গুলো অমলিন থেকে যায়। সে প্রতিদিন চন্দনের পুরনো চিঠিগুলো পড়ে, পুরনো ছবিগুলো দেখে। তার মনে হয়, চন্দন এখনো তার পাশে আছে।

একদিন, চাদনী একা বসে ছিল তাদের পুরনো স্মৃতির স্থানে, যেখানে তারা প্রথমবার একে অপরের প্রেমে পড়েছিল। সে হঠাৎই একটি চিঠি পায়। চিঠিটি চন্দনের। আহাদ লিখেছে, "চাদনী, তোমাকে আমি কখনও ভুলতে পারিনি। আমার হৃদয়ের প্রতিটি কণায় তুমি আছো। আমার জীবনে যা কিছু ঘটেছে, সব কিছুই আমার নিয়তি। আমি জানি, আমরা একসাথে থাকতে পারিনি, কিন্তু তুমি আমার হৃদয়ে চিরকাল থাকবে।"

চাদনী চিঠিটা হাতে নিয়ে কেঁদে ফেলে। সে বুঝতে পারে, চন্দন তাকে সত্যিই ভালোবাসত। কিন্তু জীবন তাদের একসাথে থাকতে দেয়নি। চাদনী চিঠিটা বুকের সাথে চেপে ধরে বলে, "চন্দন, আমি তোমাকে কখনও ভুলব না। তুমি আমার হৃদয়ের একান্ত অংশ হয়ে থাকবে চিরকাল।"

রাত গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে, কিন্তু চাদনীর মনে এখন একটা শান্তি আসে। সে জানে, তার ভালোবাসা সত্য ছিল, আর সেই সত্য ভালোবাসা কখনও হারিয়ে যায় না। তাদের ভালোবাসার গল্প হয়তো অসমাপ্ত, কিন্তু সেই ভালোবাসা চিরকাল অমর হয়ে থাকবে।

এই বিরহের মধ্যেও চাদনীর এক নতুন শক্তি খুঁজে পায়। সে বুঝতে পারে, ভালোবাসা শুধুমাত্র পাশে থাকার নাম নয়, ভালোবাসা হলো হৃদয়ে একে অপরকে চিরকাল ধরে রাখা।

এভাবেই চাদনীর জীবনের একটি অধ্যায় শেষ হয়, কিন্তু তার হৃদয়ে শুরু হয় এক নতুন ভালোবাসার গল্প-----------

সংগ্রহীত- 

পরবর্তী

Sunday, June 23, 2024

বাবা-ছেলের অটুট-বন্ধন পড়লেই চোখে জল এসে যাবে


তিতাস আর তার পিতা

গ্রামের নাম ছিল সৈয়দপুর। সেখানে বাস করত এক ছোট্ট মেয়ে, নাম তিতাস। তিতাসের বয়স দশ বছর, কিন্তু মনের দিক থেকে সে অনেক পরিণত। তার বাবার নাম ছিল শুনিল, পেশায় তিনি একজন কৃষক। তাদের ছোট্ট ঘর, সামান্য জমি আর গরুর গাড়ি - এটাই ছিল তাদের সব।

তিতাসের মা মারা গিয়েছিল অনেক আগেই। তাই তিতাস আর শুনিল একে অপরের জন্য সবকিছু ছিল। তিতাস তার বাবার কাজে সাহায্য করত, রান্না করত, এবং সন্ধ্যাবেলায় বাবার কোলে মাথা রেখে গল্প শুনত। শুনিল তার ছেলের প্রতি ছিল অত্যন্ত স্নেহশীল।



একদিন সকালে, শুনিল মাঠে কাজ করতে গিয়েছিল। তিতাস একা ঘরে বসে ছিল, হাতে তার মায়ের একটা পুরোনো চুড়ি। হঠাৎ করে একটা তীব্র বজ্রপাত হয়, সঙ্গে সঙ্গেই তিতাসের মনে একটা অশুভ আশঙ্কা জন্মায়। সে দৌড়ে মাঠে যায় এবং দেখে তার বাবা মাটিতে পড়ে আছে। তিতাসের কান্না বেরিয়ে আসে। শুনিল আর সাড়া দিচ্ছিল না।

তিতাস গ্রামবাসীদের ডাকল। সবাই এসে শুনিলকে বাড়িতে নিয়ে গেল। গ্রামের ডাক্তার এসে জানাল, শুনিল হঠাৎ স্ট্রোক করেছে। গ্রামের মানুষের সাহায্যে শুনিলকে শহরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিতাস হাসপাতালে তার বাবার পাশে বসে ছিল, তার ছোট্ট হাত দিয়ে বাবার হাত ধরে ছিল।

দিন গড়াল, তিতাসের বাবার অবস্থা ধীরে ধীরে ভালো হতে শুরু করল। ডাক্তার জানাল, সঠিক যত্ন আর ভালো খাবার পেলে শুনিল শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবে। গ্রামের মানুষজন সাহায্য করল, তাদের খাবার ও ওষুধের জোগান দিল।

শুনিল সুস্থ হয়ে ফিরে এল তার ছোট্ট ঘরে। তিতাস আনন্দে কেঁদে ফেলল। বাবাকে আবার কাছে পেয়ে সে যেন পৃথিবীর সমস্ত সুখ পেয়ে গেল। শুনিল তিতাসের মাথায় হাত রেখে বলল, "তুই আমার শক্তি রে বাব। তোর জন্যই আজ আমি বেঁচে আছি।"



তিতাস আর তার বাবা আবার সেই আগের মতো সুখে শান্তিতে জীবন কাটাতে লাগল। তাদের ভালোবাসা ছিল অটুট, যা কোনো ঝড়-ঝঞ্ঝা তাদের জীবন থেকে কেড়ে নিতে পারেনি। তিতাসের চোখে ছিল সপনো আর মনে ছিল অসীম সাহস। তারা জানত, যত বাধাই আসুক, একসঙ্গে থাকলে সবকিছু পার হওয়া সম্ভব। 

Read More