Free Youtube Subscribe

Sunday, June 30, 2024

আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল: ফুটবলের মহাযুদ্ধ এবং জাতীয় গর্বের প্রতীক



আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের ফুটবল ম্যাচগুলি সবসময়ই অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে থাকে। এই দুটি দেশ দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের প্রধান শক্তি এবং তাদের মধ্যে ম্যাচগুলি কেবল ক্রীড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বরং সংস্কৃতি এবং জাতীয় গর্বের প্রতীকও বটে। 


আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৯১৪ সালে। সেই থেকে এই দুই দেশের মধ্যে বহু উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার প্রতিটি ম্যাচেই দুই দেশের ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে ওঠে। পেলে, মেসি, ম্যারাডোনা এবং রোনালদিনহোর মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়রা এই ম্যাচগুলিতে খেলে গেছেন, যা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও মহিমান্বিত করেছে।

ব্রাজিলের ফুটবলকে প্রায়ই "জোগো বনিতো" বা "সুন্দর খেলা" বলা হয়। তাদের খেলার স্টাইল সাধারণত আকর্ষণীয় ড্রিবলিং, তীক্ষ্ণ পাসিং এবং আক্রমণাত্মক কৌশলের জন্য পরিচিত। অন্যদিকে, আর্জেন্টিনার ফুটবল স্টাইল আরও কৌশলগত এবং সৃজনশীল। আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা সাধারণত বলের নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক পাসিংয়ে দক্ষ হয়ে থাকে। 


দুই দলের মধ্যে মুখোমুখি ম্যাচগুলোতে ব্রাজিল বেশিরভাগ সময় সামান্য এগিয়ে রয়েছে, তবে আর্জেন্টিনাও তাদের দক্ষতা এবং পারফরম্যান্সের মাধ্যমে অনেক ম্যাচ জিতেছে। বিশেষ করে, ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছিল, যা লিওনেল মেসির প্রথম বড় আন্তর্জাতিক ট্রফি।


প্রতিটি আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল ম্যাচেই উত্তেজনা তুঙ্গে থাকে এবং খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ছাড়াও দর্শকদের আবেগ এবং উন্মাদনাও ফুটে ওঠে। মাঠের মধ্যে খেলার চেয়ে মাঠের বাইরে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসও এই ম্যাচগুলির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। স্টেডিয়ামে বা টিভি পর্দার সামনে, বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের ভক্তরা এই ম্যাচগুলি দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকে।

এছাড়াও, এই ম্যাচগুলির মধ্যে প্রায়ই কিছু বিতর্কিত মুহূর্তও থেকে যায়, যা ম্যাচের উত্তেজনা এবং নাটকীয়তা বাড়িয়ে তোলে। রেফারির সিদ্ধান্ত, খেলোয়াড়দের আচরণ এবং খেলার কৌশল নিয়ে আলোচনা এবং বিতর্ক হরহামেশাই দেখা যায়। 


আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল ম্যাচগুলির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল এই দুটি দেশের ফুটবল ঐতিহ্য এবং গর্ব। দুই দেশের ফুটবল ঐতিহ্য অনেক পুরানো এবং গভীরভাবে মূল প্রোথিত। এই ম্যাচগুলো কেবল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নয়, বরং দুই জাতির গর্বের প্রতীকও।

যখনই এই দুটি দল মুখোমুখি হয়, তখন শুধু দুটি দলের মধ্যেই নয়, বরং দুটি জাতির মধ্যেও এক ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি হয়। আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের ফুটবল ম্যাচগুলি কেবলমাত্র খেলাধুলার একটি দৃষ্টান্ত নয়, বরং দুটি দেশের মানুষের মধ্যে সংযোগ এবং আবেগেরও প্রতিফলন।

আরো জানুন

Friday, June 28, 2024

হরিনাবাড়ী কলেজের সাভাতি ও চেয়ারম্যান, মনোহরপুর ইউপি, মো: আব্দুল ওহাব প্রধান রিপনের এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের উপলক্ষে প্রেরণা মূলক বক্তব্য



সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, প্রিয় ছাত্রছাত্রী এবং অতিথিবৃন্দ

২৭/০৬/২০২৪ ইং হরিনাবাড়ী কলেজ কর্তৃক আয়োজিত, অত্র প্রতিষ্ঠানের ২০২৪ ইং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের এই বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কলেজ জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তটি আমাদের সকলের জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আজকের এই দিনটি আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীদের জীবনের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

প্রথমেই, আমি শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমণ্ডলীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, দিকনির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই শিক্ষার্থীরা আজকের এই অবস্থানে পৌঁছাতে পারত না। আপনাদের প্রতি আমাদের সম্মান ও কৃতজ্ঞতা সর্বদা থাকবে।

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ তোমাদের বিদায় কিন্তু এটি কোনো শেষ নয়, বরং একটি নতুন যাত্রার সূচনা। তোমাদের সামনে যে ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে তা তোমাদের কঠোর পরিশ্রম, সততা এবং নিষ্ঠার উপর নির্ভরশীল। শিক্ষার আলো দিয়ে তোমরা নিজেদের এবং সমাজকে আলোকিত করবে।

তোমাদের সকলকে আমি একটি কথা বলতে চাই, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে নিজেকে সৎ এবং নিষ্ঠাবান রাখবে। সততা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে তোমরা সকল বাধা অতিক্রম করতে পারবে। জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্য অপরিহার্য।

আমাদের কলেজের স্মৃতিগুলো তোমাদের জীবনে অনুপ্রেরণা হিসেবে থাকবে। শিক্ষকদের পরামর্শ, বন্ধুদের সাথে কাটানো সময়, প্রতিটি মুহূর্তের স্মৃতি তোমাদের জীবনে এক অমূল্য সম্পদ। 

আজকের এই বিশেষ দিনে, আমি তোমাদের সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। তোমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করো, এটাই আমাদের সকলের একান্ত কামনা। তোমাদের জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসুক।

ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল।






Monday, June 24, 2024

শিক্ষনীয় বিষয় চাদনী ও চন্দনের অমলিন ভালোবাসা- চাদনীর বিরহের জীবন কাহিনীঃ পার্ট-1

রাত গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে। চাদনীর চোখে আজ ঘুম আসছে না। সে বসে আছে জানালার পাশে, চাঁদের আলো তার মুখে পড়ছে। তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত এখন মনে হচ্ছে এক বিরহের সাগর।

চাদনী আর চন্দন—এই নাম দুটি একসময় একসঙ্গে উচ্চারিত হতো। তারা ছোটবেলা থেকেই একে অপরকে ভালোবাসত। তাদের ভালোবাসার গল্প সবাই জানত। স্কুলের বন্ধুত্ব, কলেজের প্রেম, সবকিছু যেন স্বপ্নের মতো সুন্দর ছিল।


চাদনী  আর চন্দনের জীবনের গল্প এক সুন্দর স্বপ্নের মতো চলছিল। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তাদের জীবনকে ভেঙে দিয়েছিল। চন্দনের বাবা একজন সরকারি চাকুরীজীবী ছিলেন। হঠাৎই তাকে ঢাকায় বদলি করা হয়। চন্দন চলে যায় ঢাকায়। চাদনী গ্রামের ছোট্ট শহরে একা পড়ে থাকে।


চন্দন চলে যাওয়ার পর থেকে চাদনীর জীবনে একটা শুন্যতা তৈরি হয়। শুরুতে তারা একে অপরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। চিঠি, ফোনকল—সবকিছু দিয়েই তারা একে অপরকে অনুভব করত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সবকিছু বদলে যেতে লাগল। চন্দনের ব্যস্ততা বাড়তে থাকে, চাদনীর সাথে তার যোগাযোগ কমে যেতে থাকে।

একদিন চাদনী খবর পেল, চন্দনের বিয়ে ঠিক হয়েছে। এই খবরটা চাদনীকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। চাদনীর মনের মধ্যে একটা ভয়ানক ঝড় বয়ে যায়। সে চন্দনকে ফোন করে। চন্দন জানায়, সে বাবা-মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেতে পারেনি।

চাদনী কান্নায় ভেঙে পড়ে। তার হৃদয় ভেঙে যায়। সে বুঝতে পারে, তার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি তাকে ছেড়ে চলে গেছে। চন্দনের কথা মনে করে সে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ে।

দিন কাটতে থাকে, কিন্তু চাদনীর জীবনে চন্দনের স্মৃতি গুলো অমলিন থেকে যায়। সে প্রতিদিন চন্দনের পুরনো চিঠিগুলো পড়ে, পুরনো ছবিগুলো দেখে। তার মনে হয়, চন্দন এখনো তার পাশে আছে।

একদিন, চাদনী একা বসে ছিল তাদের পুরনো স্মৃতির স্থানে, যেখানে তারা প্রথমবার একে অপরের প্রেমে পড়েছিল। সে হঠাৎই একটি চিঠি পায়। চিঠিটি চন্দনের। আহাদ লিখেছে, "চাদনী, তোমাকে আমি কখনও ভুলতে পারিনি। আমার হৃদয়ের প্রতিটি কণায় তুমি আছো। আমার জীবনে যা কিছু ঘটেছে, সব কিছুই আমার নিয়তি। আমি জানি, আমরা একসাথে থাকতে পারিনি, কিন্তু তুমি আমার হৃদয়ে চিরকাল থাকবে।"

চাদনী চিঠিটা হাতে নিয়ে কেঁদে ফেলে। সে বুঝতে পারে, চন্দন তাকে সত্যিই ভালোবাসত। কিন্তু জীবন তাদের একসাথে থাকতে দেয়নি। চাদনী চিঠিটা বুকের সাথে চেপে ধরে বলে, "চন্দন, আমি তোমাকে কখনও ভুলব না। তুমি আমার হৃদয়ের একান্ত অংশ হয়ে থাকবে চিরকাল।"

রাত গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে, কিন্তু চাদনীর মনে এখন একটা শান্তি আসে। সে জানে, তার ভালোবাসা সত্য ছিল, আর সেই সত্য ভালোবাসা কখনও হারিয়ে যায় না। তাদের ভালোবাসার গল্প হয়তো অসমাপ্ত, কিন্তু সেই ভালোবাসা চিরকাল অমর হয়ে থাকবে।

এই বিরহের মধ্যেও চাদনীর এক নতুন শক্তি খুঁজে পায়। সে বুঝতে পারে, ভালোবাসা শুধুমাত্র পাশে থাকার নাম নয়, ভালোবাসা হলো হৃদয়ে একে অপরকে চিরকাল ধরে রাখা।

এভাবেই চাদনীর জীবনের একটি অধ্যায় শেষ হয়, কিন্তু তার হৃদয়ে শুরু হয় এক নতুন ভালোবাসার গল্প-----------

সংগ্রহীত- 

পরবর্তী

Sunday, June 23, 2024

বাবা-ছেলের অটুট-বন্ধন পড়লেই চোখে জল এসে যাবে


তিতাস আর তার পিতা

গ্রামের নাম ছিল সৈয়দপুর। সেখানে বাস করত এক ছোট্ট মেয়ে, নাম তিতাস। তিতাসের বয়স দশ বছর, কিন্তু মনের দিক থেকে সে অনেক পরিণত। তার বাবার নাম ছিল শুনিল, পেশায় তিনি একজন কৃষক। তাদের ছোট্ট ঘর, সামান্য জমি আর গরুর গাড়ি - এটাই ছিল তাদের সব।

তিতাসের মা মারা গিয়েছিল অনেক আগেই। তাই তিতাস আর শুনিল একে অপরের জন্য সবকিছু ছিল। তিতাস তার বাবার কাজে সাহায্য করত, রান্না করত, এবং সন্ধ্যাবেলায় বাবার কোলে মাথা রেখে গল্প শুনত। শুনিল তার ছেলের প্রতি ছিল অত্যন্ত স্নেহশীল।



একদিন সকালে, শুনিল মাঠে কাজ করতে গিয়েছিল। তিতাস একা ঘরে বসে ছিল, হাতে তার মায়ের একটা পুরোনো চুড়ি। হঠাৎ করে একটা তীব্র বজ্রপাত হয়, সঙ্গে সঙ্গেই তিতাসের মনে একটা অশুভ আশঙ্কা জন্মায়। সে দৌড়ে মাঠে যায় এবং দেখে তার বাবা মাটিতে পড়ে আছে। তিতাসের কান্না বেরিয়ে আসে। শুনিল আর সাড়া দিচ্ছিল না।

তিতাস গ্রামবাসীদের ডাকল। সবাই এসে শুনিলকে বাড়িতে নিয়ে গেল। গ্রামের ডাক্তার এসে জানাল, শুনিল হঠাৎ স্ট্রোক করেছে। গ্রামের মানুষের সাহায্যে শুনিলকে শহরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিতাস হাসপাতালে তার বাবার পাশে বসে ছিল, তার ছোট্ট হাত দিয়ে বাবার হাত ধরে ছিল।

দিন গড়াল, তিতাসের বাবার অবস্থা ধীরে ধীরে ভালো হতে শুরু করল। ডাক্তার জানাল, সঠিক যত্ন আর ভালো খাবার পেলে শুনিল শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবে। গ্রামের মানুষজন সাহায্য করল, তাদের খাবার ও ওষুধের জোগান দিল।

শুনিল সুস্থ হয়ে ফিরে এল তার ছোট্ট ঘরে। তিতাস আনন্দে কেঁদে ফেলল। বাবাকে আবার কাছে পেয়ে সে যেন পৃথিবীর সমস্ত সুখ পেয়ে গেল। শুনিল তিতাসের মাথায় হাত রেখে বলল, "তুই আমার শক্তি রে বাব। তোর জন্যই আজ আমি বেঁচে আছি।"



তিতাস আর তার বাবা আবার সেই আগের মতো সুখে শান্তিতে জীবন কাটাতে লাগল। তাদের ভালোবাসা ছিল অটুট, যা কোনো ঝড়-ঝঞ্ঝা তাদের জীবন থেকে কেড়ে নিতে পারেনি। তিতাসের চোখে ছিল সপনো আর মনে ছিল অসীম সাহস। তারা জানত, যত বাধাই আসুক, একসঙ্গে থাকলে সবকিছু পার হওয়া সম্ভব। 

Read More

Saturday, June 22, 2024

মনাহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: আব্দুল ওহাব প্রধান রিপন এর সহযোগীতায় হুইল চেয়ার পেল প্রতিবন্ধী মুন্নি বেগম

ইউপি চেয়ারম্যান এর সহযোগীতায় হুইলচেয়ার পেল প্রতিবন্ধী মুন্নি বেগম
অবশেষে হুইল চেয়ার পেল প্রতিবন্ধী মুন্নি বেগম।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুুল ওহাব প্রধান রিপন এর পক্ষ থেকে ঈদ শুভেচ্ছা উপলক্ষে হুইলচেয়ার দিলেন কষ্টে থাকা শারীরিক প্রতিবন্ধী মুন্নি বেগমকে।

একটি হুইল চেয়ারের আকুতি "শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
শারীরিক প্রতিবন্ধী মুন্নির খবরটি নজরে আসে চেয়ারম্যান আব্দুুল ওহাব প্রধান রিপনের
এবং হুইল চেয়ার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
পরে তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

শুক্রবার(২১ জুন) ঈদ আযহা উপলক্ষে প্রতিবেদকের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী মুন্নি এর পরিবারের উপস্থিতিতে হুইল চেয়ারটি দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোহরপুর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুুল ওহাব প্রধান রিপন,যুগ্ন-সাধারণ মাহাবুব আলম,সংবাদকর্মী আসাদুজ্জামান রুবেল, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা শাহাজান চৌধুরী।
 
প্রতিবেদক
মো: আসাদুজ্জামন রুবেল 

 

 

Friday, June 21, 2024

বর্তমান সময়ের আর্তংকের নাম রাসেল ভাইপার সাপ, আসুন জেনে নেই রাসেল ভাইপার সাপ সম্পর্কে


দেশে বেড়েছে রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব। বিষধর এ সাপটির দংশনে বিভিন্ন জেলায় মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে খেতের ফসল কাটতে গেলে এ সাপের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন চাষি। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অন্তত ২৫টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে রাসেলস ভাইপার। প্রায়শই এসব এলাকায় এ সাপের দংশনে মৃত্যুর খবর আসছে।

ভারতে প্রতি বছর যে পরিমাণ সাপে কাটার ঘটনা ঘটে, তার মধ্যে অন্তত ৪৩ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় প্রতি বছর মোট সাপে কাটার ঘটনার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ রাসেলস ভাইপারের কারণে হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এখনো এর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই।

s sss 

বাংলাদেশে যেসব সাপ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বিষাক্ত বলে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন।

সাধারণত কৃষি জমিতে থাকে বলে মানুষ অনেক সময়ই সাপের গায়ে পা দেন বা না জেনে একে বিরক্ত করেন। তখন রাসেলস ভাইপার বিপন্ন বোধ করলে আচমকা আক্রমণ করে বসে। এ জন্য ধানখেত বা গমখেতে কাজে নামার আগে লম্বা বাঁশ দিয়ে জায়গাটি নাড়িয়ে নিতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, খেতে নামার সময় গামবুট পরে, জিনসের ট্রাউজার পরে কাজে নামতে হবে। এতে সাপের কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

 রাসেল ভাইপারের দংশনের শিকার ব্যক্তির কিডনি দ্রুত অকেজো হতে শুরু করে। শরীর জ্বালাপোড়া করার পাশাপাশি দংশনের স্থানে পচন ধরে।

একইসঙ্গে দংশনের শিকার ব্যক্তির রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। এসব ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা দেওয় না হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

সাপটির দংশনের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে চিকিৎসক আরও বলেন, রাসেল ভাইপারের এন্টিভেনম থাকলেও সেটা খুব একটা কাজ করে না।

২০১৫ সালের দিকে আমরা প্রথম রাসেল ভাইপারে কামড়ানো রোগী পেয়েছিলাম। সে সময় আক্রান্ত হাত-পা কেটে ফেলেও রোগীকে বাঁচানো যায়নি। তাই সাপটির কবল থেকে বাঁচতে সচেতনতাই কার্যকর পথ

 Sss s

ভাইপার রাসেলস দংশন করলে করণীয় সম্পর্কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সুপারনিউমেরারি অধ্যাপক মো. ফরিদ আহসান বলেন, কামড়ে যদি দাঁত বসে যায়, তাহলে ক্ষতস্থানের ওই জায়গাটিসহ ওপর-নিচের খানিকটা জায়গা নিয়ে হালকা করে ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে দিতে হবে। নড়াচড়া করা যাবে না। রোগীকে সাহস দিতে হবে। হাঁটা-চলাচল একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে। যাতে রক্ত চলাচলটা একটু কম হয়। এভাবে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

, গ্রামাঞ্চলের কোথাও যদি গাড়ি না পাওয়া যায়, তাহলে মোটরসাইকেলে রোগীকে চালক ও আরেক আরোহীর মাঝে বসিয়ে নিতে হবে। তাহলে একটু দ্রুত হবে।

 বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কামড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া হয় না। অনেকটা দেরি হয়ে যায়। তখন এটা একটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এই সাপের বিষ এমনই বেশি যে একসঙ্গে শরীরের অনেকগুলো অঙ্গ আক্রান্ত হয়ে যায়

Read more 

Wednesday, June 19, 2024

খবর প্রকাশের পর “পলাশবাড়ী প্রজম্ম তরুন সংঘ” থেকে হুইল চেয়ার পেল শারীরিক প্রতিবন্ধী মমিনুল ইসলাম-৩৫

০৮ নং মনোহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের  সাধারণ সম্পাদক  জনাব মোঃ আব্দুল ওহাব প্রধান রিপন ভাইয়ের মাধ্যমে মনোহরপুর ইউনিয়নের নিমদাসেরভিটা গ্রামের অসহায় প্রতিবন্ধী পরিবারের সন্ধান পায় এবং সাংবাদিক আসাদুজ্জামান রুবেল সরাসরি পরিবারটির সাথে কথা বলে এবং পরিবারটি একটি হুইল চেয়ার এর আকুতি করে সেই মোতাবেক সাংবাদিক আসাদুজ্জামান রুবেল তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে গত- ১০/০৬/২০২৪ ইং তারিখে প্রতিবন্ধী মমিনুল ইসলাম-৩৫ এর জন্য একটি হুইল চেয়ার চেয়ে খবর প্রকাশ করে। খবরটি পলাশবাড়ী প্রজম্ম তরুন সংঘ এর নজরে আসলে উক্ত সংঘের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আসাদুজ্জামান রুবেল এর সাথে যোগাযোগ করে অদ্য- ১৯/০৬/২০২৪ ইং তারিখে মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল ওহাব প্রধান রিপন এর উপস্থিতে শারীরিক প্রতিবন্ধী মমিনুল ইসলাম-৩৫ কে  একটি হুইল চেয়ার প্রদান করেন  পলাশবাড়ী প্রজম্ম তরুন সংঘ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সভাপতি মোঃ আল-আমিন। 


এসময় উপস্থিত ছিলেন,  পলাশবাড়ী প্রজম্ম তরুন সংঘের সদস্য বৃন্দ, মনোহরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের জয়েন্ট সেক্রেটারী মোঃ মাহবুব আলম, সাবেক ইউপি সদস্য ও ০৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ শাহজাহন চৌধুরী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

পরিবারটি প্রতিবন্ধী মমিনুল ইসলাম (৩৫) এর জন্য একটি হুইল চেয়ার পাওয়ায় পলাশবাড়ী প্রজম্ম তরুন সংঘ, সাংবাদিক ও চেয়ারম্যান এর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে। 


চেয়ারম্যন মহোদয় এসময় সকল কে “তাদের  আশে পাশে থাকা অসহায় মানুষদের পাশ্বে থাকার জন্য অনুরোধ করেণ” এবং পলাশবাড়ী প্রজম্ম তরুন সংঘ সহ সাংবাদিক কে ধন্যবাদ জানান অসহায় প্রতিবন্ধীর পাশ্বে দাড়ানোর জন্য। 

প্রতিবেদক

মোঃ আসাদুজ্জামন রুবেল  

 

Read More